বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক জামায়াতে ইসলামীর অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, গত ৫৪ বছরে স্বাধীনতা দিবসে জামায়াতকে কখনো মিছিল করতে দেখা যায়নি। এখন তারা নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুললেও মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে ফারুক বলেন, “যখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন নিয়ে কথা বলা শুরু করলেন, তখন জামায়াতেরও নতুন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ১৯৭১ সালে তারা কোথায় ছিলেন?”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শুনেছি, একটি বিশেষ সংবাদপত্রের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অমুসলিম বলা হয়েছিল। এখন আবার নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা নিরব ছিলেন, তারা এখন হঠাৎ করে রাজনীতি নিয়ে এত সরব কেন?” জয়নুল আবদিন ফারুক দাবি করেন, বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, “একটি গোষ্ঠী চক্রান্ত করছে। জামায়াত একসময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচন করেছে, পরবর্তীতে তাদের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাহলে এখন কেন তারা আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছে?” তিনি আরও বলেন, “আমরা বিএনপি ১৬ বছর ধরে নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছি, কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত করিনি। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো চক্রান্ত হয়, তবে জনগণ তা মেনে নেবে না।”
ফারুক আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ এনে বলেন, “শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ধ্বংস করেছে। তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলেও আমরা গণতন্ত্রের সংকট দেখেছি। এখন শেখ হাসিনার শাসনামলে সেই সংকট আরও তীব্র হয়েছে।” এ সময় বিএনপি নেতারা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানান। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নবী হোসেন।