চট্টগ্রাম, ঢাকা – ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য পাঠানোর (ট্রান্সশিপমেন্ট) সুবিধা বন্ধ করার পরও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি সচল রয়েছে। রপ্তানিকারকরা শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছেন এবং দেশের বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা ইউরোপের বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করছে।
বিজিএমইএ-এর পরিচালক ফয়সাল সামাদ জানান, “আকাশপথে পণ্য পরিবহনের চাপ কমায় কার্গো বিমানে জায়গার সংকট নেই। দ্রুত পৌঁছানোর প্রয়োজন হলে দুবাই হয়ে পণ্য পাঠানো হচ্ছে।”
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছোট জাহাজে পণ্য পাঠানো হচ্ছে কলম্বোতে, এবং সেখান থেকে বড় জাহাজে সরাসরি ইউরোপে পৌঁছে যাচ্ছে। জরুরি চালানের ক্ষেত্রে পণ্য প্রথমে দুবাই হয়ে আকাশপথে ইউরোপে পাঠানো হচ্ছে।
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও নতুন বিস্ফোরক শনাক্তকরণ ব্যবস্থা (ইডিএস) স্থাপন ও মেরামতের মাধ্যমে রপ্তানি প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হয়েছে। স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন, “ইনডিটেক্সের মতো বড় ব্র্যান্ড এখন সিলেট বা ঢাকা থেকে নিজস্ব চার্টার্ড বিমানে পণ্য পাঠাচ্ছে।”
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে ভারতীয় ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধের ধাক্কা সত্ত্বেও সরকার এবং রপ্তানিকারকেরা দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করায় রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখেছে।


