বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনিয়মের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষ করে, সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ায় তাকে চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, অন্যান্য অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছেন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম, রেজাউল করিম, পরিচালক শেখ মাহবুব-উর-রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, এস কে মো. লুৎফুল কবির ও যুগ্ম পরিচালক মো. রাশেদুল আলম। তাদের বিরুদ্ধে শেয়ার কেলেঙ্কারিসহ পুঁজিবাজারে লুটপাটের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে তাদের পাসপোর্ট বাতিল ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তারা কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং তাদের বিরুদ্ধে অশোভন স্লোগান দেন। প্রায় চার ঘণ্টা এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি চলতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে পুলিশ এবং পরে সেনাবাহিনী বিএসইসি ভবনে উপস্থিত হয়ে কমিশনের কর্মকর্তাদের মুক্ত করে।
বিএসইসি জানিয়েছে, বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে বদ্ধপরিকর। পুঁজিবাজার ধ্বংসের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।