বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহবুব মোর্শেদের দেওয়া আপত্তিকর চিঠির প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। সংগঠনটি চিঠিটি প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশের দাবি জানিয়েছে, অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। শনিবার বাসস কার্যালয়ে ডিইউজে’র ইউনিট সভায় এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম এবং উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভার শুরুতে বাসসের চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন খুরশীদ আলম।
ডিইউজে নেতারা অভিযোগ করেন, বাসসের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতেই এমডি মাহবুব মোর্শেদ বিতর্কিত এই চিঠি ইস্যু করেছেন। তারা বলেন, এটি শুধু ঔদ্ধত্যপূর্ণই নয়, বরং সাংবাদিকদের অধিকার ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা। এমডিকে দ্রুত তার চিঠির জন্য ক্ষমা চাইতে হবে এবং তা প্রত্যাহার করতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, মাহবুব মোর্শেদ ফ্যাসিবাদী সরকারকে রক্ষা করতে দুর্নীতি ও অনিয়মকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। অথচ তিনি সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার পরিবর্তে তাদের দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছেন। তারা অভিযোগ করেন, গত ১৬ বছর ধরে যারা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ছিলেন, তাদের হয়রানি করাই তার মূল লক্ষ্য।
সভাপতির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম বলেন, “বাসস এমডি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ঐতিহ্য ও শক্তি সম্পর্কে জানেন না। তিনি ডিইউজেকে হুমকি দিয়ে যে দৃষ্টতা দেখিয়েছেন, তার জন্য অবশ্যই প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।” তিনি আরও বলেন, যদি আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে বাসস এমডি ক্ষমা না চান, তাহলে বুধবার বাসস কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হবে।
ডিইউজে নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দেন, সাংবাদিকদের স্বাধীনতা হরণ ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে তারা সবসময় সোচ্চার থাকবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে, যা বাসস প্রশাসনের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। এই আলটিমেটামের পরিপ্রেক্ষিতে বাসস প্রশাসন কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা নিয়ে সাংবাদিক মহলে আলোচনা চলছে।