বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত। আমাদের সরকার বিনিয়োগের প্রক্রিয়া সহজতর করেছে এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলেছে। ”সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূস একাধিক আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনার ওপর আলোকপাত করেন। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশে তরুণ জনগোষ্ঠীর একটি শক্তিশালী ভিত্তি রয়েছে, যা দেশকে একটি রপ্তানি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করছে। চট্টগ্রামসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নত করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ”ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলাইমের সঙ্গে এক বৈঠকে বন্দর ব্যবস্থাপনা এবং লজিস্টিক সুবিধা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করেন ড. ইউনূস। এ ছাড়া, ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগের সঙ্গে বৈঠকে প্রযুক্তি খাতে সম্ভাব্য বিনিয়োগের বিষয়েও মতবিনিময় হয়।
ড. ইউনূস উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জন্য এক আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, “সরকারের নীতি সহায়তার পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন আমাদের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করেছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ট্যাক্স সুবিধাসহ বিভিন্ন প্রণোদনাও রাখা হয়েছে।” বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ এবং শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করছেন। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার ইতিবাচক বার্তা পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি দাভোসে পৌঁছানোর পর থেকে ড. ইউনূস বিভিন্ন বৈঠক ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের জন্য নতুন বিনিয়োগের দরজা উন্মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।