বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। এজন্য দেশটি সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানান ব্রিটিশ হাইকমিশনার। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যেন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়, তা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার রয়েছে, এবং আমরা চাই বাংলাদেশেও একটি স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।”
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন জানান, ব্রিটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ছিলেন। তিনি বলেন, “আমাদের কী ধরনের প্রস্তুতি চলছে, কী কী পরিকল্পনা রয়েছে, তা তাদের জানানো হয়েছে। তারা পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।”
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনার সময় সারাহ কুক জানান, যুক্তরাজ্য চায় নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর হোক। সিইসি এ বিষয়ে আশ্বস্ত করে বলেন, “নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের তালিকা পর্যালোচনা করা হবে এবং স্বচ্ছতা বজায় রেখে প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হবে।”
বৈঠকে সিইসি উল্লেখ করেন, “নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের নির্ধারিত সময়সীমা মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডিসেম্বরের নির্ধারিত সময়সীমা যাতে কোনোভাবেই মিস না হয়, তা নিশ্চিত করতে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।”এছাড়া, নির্বাচনী সামগ্রী কেনাকাটাসহ বিভিন্ন কারিগরি দিক নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে নির্বাচন ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। সারাহ কুক বলেন, “যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে। গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।” আগামী নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহ বাড়ছে। এ ধরনের বৈঠকগুলো স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।