ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ঘটনায় ঢাকার আদালত পিবিআইকে স্বপ্রণোদিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার, ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদ আদালত এই নির্দেশ দেন। আদালত এ সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন, কারণ সংবাদে উল্লিখিত ঘটনাটিকে আমলে নিয়ে কোন মামলা না করার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তের প্রয়োজনীয়তা অনুভব হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, ১৬ মার্চ, ঢাকার দোহারের পদ্মা নদীতে গভীর রাতের সময় শুরু হয় অবৈধ বালু উত্তোলন। রাতের অন্ধকারে কয়েকটি কাটারের মাধ্যমে চলছিল এই অবৈধ কর্মকাণ্ড। এর ফলে স্থানীয় মেঘুলা, নারিশা ও মুকসুদপুর এলাকার বেড়িবাঁধের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন যে, এই বালু উত্তোলনের কারণে পদ্মাপারের অন্তত দুইশ পরিবার তাদের ভিটে বাড়ি হারিয়ে ফেলেছে।
এ বিষয়ে আদালত পিবিআইয়ের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলেছেন। বিচারক মনে করেছেন, এই ঘটনায় গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া, স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বালু উত্তোলনের কারণে তাদের জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কয়েকটি পরিবার তাদের বসবাসের জায়গা হারিয়ে প্রায় ঘরবাড়িহীন হয়ে পড়েছে। নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন কার্যক্রমের কারণে স্থানীয় পরিবেশও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এখন আদালতের নির্দেশে পিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করবে, এবং বিষয়টি যাতে সঠিকভাবে খতিয়ে দেখা হয় সে জন্য তৎপর থাকবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার মাধ্যমে পদ্মা নদী এবং তার আশপাশের এলাকার পরিবেশ এবং জনজীবন নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।