ছয় দফা দাবিতে জোরদার আন্দোলনে নেমেছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। শাটডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ক্লাসরুমগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় ক্লাস কার্যক্রম।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে প্রধান দাবি হলো, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য নির্ধারিত ৩০ শতাংশ কোটা বাতিল। এছাড়া, তারা জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে পদোন্নতির রায় বাতিল, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরখাস্ত, ২০২১ সালের বিতর্কিত নিয়োগ বাতিল এবং নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধনের দাবিও জানায়।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা এর আগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এতে তীব্র যানজট ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় সড়ক অবরোধের কারণে একাধিক এলাকায় যান চলাচলে স্থবিরতা দেখা দেয়।
শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান খানকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার স্থলে উপাধ্যক্ষ শাহেলা পারভীনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। একইসঙ্গে তারা বলেছেন, এই দাবি কেবল পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের নয়, বরং দেশের কারিগরি শিক্ষার মান রক্ষার সঙ্গে জড়িত।