ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার সংস্থাটির নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক জানিয়েছে, সরকারি কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় হাবিব হাসান ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসাধু উপায়ে মোট ৫ কোটি ৯০ লাখ ১৭ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবিহীন সম্পদ অর্জন করেছেন। পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ২৮টি ব্যাংক হিসাবে ৩১০ কোটি ৭৬ লাখ টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে, যা সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই মামলায় হাবিব হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব ধারায় দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ড, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অর্থ পাচারের মতো গুরুতর অপরাধের জন্য দায়ী করা হয়।
দুদকের মতে, আসামির সম্পদের পরিমাণ ও ব্যাংক লেনদেনের ধরন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তা তার ঘোষিত আয়ের উৎসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই ঘটনায় একটি বিস্তারিত অনুসন্ধান প্রতিবেদন তৈরির পর মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক জানায়, মামলার পরবর্তী ধাপে সম্পদ জব্দ এবং আসামির ব্যাংক হিসাব তল্লাশির কাজ শুরু হবে। প্রয়োজনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলবও করা হতে পারে।
এই মামলাকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সাধারণ জনগণের মধ্যেও আলোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকে মনে করছেন, এটি দেশের দুর্নীতিবিরোধী লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।