৪ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস। তিনি জানান, বুধবার দুপুর থেকেই সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কয়েক শতাধিক মানুষ বালু ইজারায় অংশ নিতে ভিড় জমাতে শুরু করে। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে ইজারার জন্য আসা ব্যক্তিরা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত হন। শুরুতে ইজারা নিয়ে দর-কষাকষি চলছিল, তবে এক পর্যায়ে এই আলোচনা উত্তেজনার রূপ নেয় এবং শারীরিক হাতাহাতিতে পরিণত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইজারা প্রক্রিয়া পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে দর-কষাকষি করতে গিয়ে ইজারায় অংশ নেওয়া এক ব্যক্তি ও বালু সিন্ডিকেটের সদস্যদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এর পরই হাতাহাতি শুরু হয়ে পরিস্থিতি আরও ঘণীভূত হয়। সিলেট জেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে কিছুটা পরিস্থিতি শান্ত হলেও আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ইজারার প্রক্রিয়া স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এ ব্যাপারে একজন ইজারায় অংশ নেওয়া ব্যক্তি জানান, নিলামের সময় নাজিম উদ্দিন নামের একজন ব্যক্তিকে শার্টের কলার চেপে ধরেন এক ইজারাদার। অভিযোগ উঠেছে, তিনি সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়ে বেশি দামে নিলাম ডাকায় এই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
বালু ইজারা সম্পর্কে জানতে চাইলে হাজি নাজিম উদ্দিন বলেন, “আমি প্রথম নিলামে সর্বোচ্চ দর দিয়েছিলাম এবং ডাক পেয়েছিলাম, কিন্তু পরবর্তীতে উশৃঙ্খল পরিবেশের কারণে নিলাম প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, সিলেটে ৯টি পয়েন্টের ড্রেজিং বালু উত্তোলনের জন্য ৩০০ জনেরও বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা সাময়িকভাবে ইজারার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।