বিগত সরকারের সময়ে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। তবে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে আইনসঙ্গত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের দাবি উত্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চাকরিচ্যুত সদস্যদের আবেদন পর্যালোচনা করে ন্যায্য সিদ্ধান্ত নিতে ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি বিভাগীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ, ফৌজদারি অপরাধ, আর্থিক অনিয়ম বা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হওয়ার বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে।
সদর দপ্তরের তথ্যমতে, চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ১ হাজার ৫২২ জন পুনর্বহালের জন্য আবেদন করেছেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ২৫ জন কনস্টেবল, ৭৯ জন নায়েক, ১৮০ জন এএসআই/এটিএসআই, ২০০ জন এসআই/সার্জেন্ট/টিএসআই, ১০ জন ইন্সপেক্টর এবং ২৮ জন নন-পুলিশ সদস্য রয়েছেন। তাদের আবেদন যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, চাকরিচ্যুত সদস্যদের কেউ কেউ প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল বা প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন, যা বিচারাধীন রয়েছে। পুলিশের অভ্যন্তরীণ কমিটি তাদের আবেদনগুলো খতিয়ে দেখার পাশাপাশি, আদালতের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
২৯ জানুয়ারি চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। এ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি দল তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন এবং আশ্বাস দেন যে, যথাযথ যাচাই-বাছাই শেষে যোগ্য প্রার্থীদের পুনর্বহাল করা হবে। তবে এর পরও তারা রাস্তা অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেন, যা নিয়ে পুলিশ প্রশাসন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আন্দোলনকারীদের দাবি খতিয়ে দেখা হলেও, কোনো অবস্থাতেই আইনশৃঙ্খলার ব্যত্যয় ঘটানো বা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা উচিত নয়। আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ ও আইনসঙ্গত উপায়ে তাদের দাবি উত্থাপনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
চাকরিচ্যুত সদস্যদের বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পুলিশ সদর দপ্তর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, যারা সত্যিকারের অবিচারের শিকার হয়েছেন, তাদের ন্যায়বিচার দেওয়া হবে, তবে অন্যায় বা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত যথাযথ তদন্তের