এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পূর্বঘোষিত রুটিন অনুযায়ী ১০ এপ্রিল থেকেই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, এ মুহূর্তে পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। সম্প্রতি পরীক্ষার্থীদের একটি অংশ পরীক্ষার তারিখ পেছানোর দাবিতে সোচ্চার হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তারা এক মাস সময় বাড়ানো এবং প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষার মাঝে ৩-৪ দিনের বিরতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তবে শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব দাবি বাস্তবসম্মত নয় এবং পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছি। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেন্দ্রে পাঠানোর কাজও প্রায় শেষ। এখন পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হলে তা গোটা পরীক্ষার সময়সূচিকে বিপর্যস্ত করবে।” তিনি আরও জানান, বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়েই পরীক্ষা দিতে চায়। কিন্তু কিছু ব্যক্তি ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের দাবি তুলছে। তিনি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এসব গুজবে কান না দিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেবে ১৯ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন শিক্ষার্থী। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার লিখিত অংশ শেষ হবে ১৩ মে, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা শেষ হবে ১৫ মে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা চলবে ২২ মে পর্যন্ত। এর আগে ৩ এপ্রিল একদল পরীক্ষার্থী গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে দাবি জানায়, রমজান মাসের কারণে তারা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে পারেনি এবং ঈদের পরপরই পরীক্ষা হওয়ায় পড়াশোনার জন্য যথেষ্ট সময় পাচ্ছে না। ফলে এক মাস সময় বাড়ানো হলে তারা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবে এবং ফলাফলও ভালো হবে।
তবে বোর্ড কর্তৃপক্ষ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলছে, পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী পরীক্ষাই হবে এবং এ বিষয়ে কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।