রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোট দিতে সারা দেশ থেকে কেন্দ্রে এসেছেন ২৮০৬ জন নিবন্ধিত ভোটার।
এবি পার্টি দেশের গণতান্ত্রিক ধারা পুনরুদ্ধার এবং জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। দলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, এই নির্বাচন দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এ এফ সোলায়মান চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু এবং যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম। তিনজনই দলের প্রতি নিবেদিত এবং নানা সময়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রার্থীরা এই নির্বাচনকে দলের গণতান্ত্রিক চর্চার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তারা বিশ্বাস করেন, এই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন দলের অভ্যন্তরে ঐক্য আরও শক্তিশালী করবে এবং দেশব্যাপী গণতন্ত্রের প্রসারে ভূমিকা রাখবে। এ এফ সোলায়মান চৌধুরী বলেন, “দলীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাধারণ সদস্যদের মধ্যে যে উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে, তা প্রমাণ করে এবি পার্টি গণমানুষের দল হিসেবে গড়ে উঠছে।” মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “আমরা একসঙ্গে কাজ করে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন দেখেছি, এই নির্বাচন সেই অভিযাত্রার অংশ। এটি কেবল নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয় নয়, গণতন্ত্রের চর্চারও উদাহরণ।”
কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম বলেন, “আমরা সবাই একটি অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি—দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা। প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও আমরা ঐক্যবদ্ধ।” ভোট দিতে আসা দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, এবি পার্টির এই অভ্যন্তরীণ নির্বাচন দেশে গণতন্ত্র চর্চার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিল আগামীকাল (১১ জানুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে। নেতারা আশা করছেন, এই কাউন্সিলের মাধ্যমে দল আরও সংগঠিত হয়ে দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। প্রার্থীরা জানিয়েছেন, নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক, ঐক্য অটুট থাকবে এবং দল জনগণের কল্যাণে কাজ চালিয়ে যাবে।


