আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতার চলমান আন্দোলন শাহবাগে সব ছাত্র সংগঠনগুলো অংশগ্রহণ করলেও এখনও বাম সংগঠনগুলো এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।
শুক্রবার (৯ মে) শাহবাগ মোড়ে আন্দোলন চলাকালীন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলমান আন্দোলনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, সদ্য গঠিত প্লাটফর্ম আপ বাংলাদেশসহ জুলাই চেতনা ধারণকারী ৩৫ টি রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জোট ‘জুলাই ঐক্য’ এবং বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় বিক্ষোভে।
ওইদিন বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা থেকে মিছিল নিয়ে এসে শাহবাগ মোড় ব্লক ছাত্র-জনতা। এর পরে একে একে এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে থাকে এনসিপি, শিবির, আপ বাংলাদেশ ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহতদেরও অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে এ কর্মসূচিতে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী (মার্ক্সবাদী) ঢাকা পোস্টকে বলেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ বামপন্থী ছাত্র সংগঠনসমূহ জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি এবং আন্দোলন পরিচালনা করে আসছে। জুলাই গণহত্যার বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই আওয়ামীলীগকে কার্যকরভাবে নিষিদ্ধ করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, সরকার সেক্ষেত্রে যথার্থ ভূমিকা পালন করছে না। সরকার এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় হাসিনা থেকে শুরু করে গণহত্যায় জড়িত অনেকেই দেশের বাহিরে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রত্যেকের অবস্থান থেকে জুলাই গণহত্যার বিচারের বিষয়ে সোচ্চার থাকতে হবে এবং জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা যেন নতুন করে মাথা চাঁড়া দিতে না পারে সেজন্য গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহকে সজাগ থাকতে হবে।
এ বিষয়ে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোনে পাওয়ায় যায়নি।