ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন দাবি করেছেন, যদি তাকে আবার প্রতিষ্ঠানটির এমডি পদে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে তিনি এক মাসের মধ্যে ডেসটিনির ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া শুরু করবেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে তার নতুন রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি’র আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। রফিকুল আমীন বলেন, “ডেসটিনির যে পাওনা আছে, তা পরিশোধ করতে হলে আমাকে আগের বোর্ডে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাকে এমডি করতে হবে। আমি ওয়াদা করছি, এমডি পদে নিয়োগ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার এক মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়া শুরু করব।”
তবে তিনি কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ফেরত দেবেন, তা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেননি। বরং তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে যারা পরিচালনা পরিষদে আছেন, তারা তাকে বোর্ডে ফিরতে দিচ্ছেন না। “ষড়যন্ত্র করে আমাকে বাইরে রাখা হয়েছে। বিদেশে পলাতক তিন পরিচালক এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। তারা সব টাকা নিয়ে দেশ ছেড়েছেন,” বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করা ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড এক দশক সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা করলেও ২০১২ সালে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কোম্পানির বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক। মামলায় মোট ৪,১১৯ কোটি টাকার আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার পর রফিকুল আমীন দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাভোগ করেন।
২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ডেসটিনির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে নতুন বোর্ড গঠন করে, যেখানে বর্তমানে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া।রফিকুল আমীনের এমন মন্তব্য নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে—একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কীভাবে আবার বোর্ডে ফিরতে চান, এবং তার প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়নযোগ্য?