দেশের বাজারে আন্তর্জাতিক মূল্য সমন্বয়ের অংশ হিসেবে সরকার নতুন করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) রাত ১২টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। নতুন নির্ধারিত দামে অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল ও কেরোসিনের প্রতি লিটারে এক টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—
ডিজেলের দাম ১০৪ টাকা থেকে বেড়ে ১০৫ টাকা হয়েছে।
কেরোসিনের দামও ১০৪ টাকা থেকে ১০৫ টাকা করা হয়েছে।
পেট্রোলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২২ টাকা, যা আগে ছিল ১২১ টাকা।
অকটেনের মূল্য ১২৫ টাকা থেকে বেড়ে ১২৬ টাকা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ওঠানামা করে, যা দেশের বাজারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমন্বয় করার লক্ষ্যে প্রতি মাসে মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। সরকার নির্ধারিত নতুন মূল্যের মাধ্যমে তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায়। গত ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৫ টাকা থেকে ১০৪ টাকা করা হয়েছিল, তবে অকটেন ও পেট্রোলের দাম অপরিবর্তিত ছিল। এবার চার ধরনের জ্বালানি তেলের মূল্যই এক টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পরিবহন খাতে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও এক টাকার বৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে কম, তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি সামগ্রিক বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে। পরিবহন ব্যয় বাড়লে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে, কিছু অর্থনীতিবিদ বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামের ওঠানামার সঙ্গে সমন্বয় করাটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে এ ধরনের মূল্যবৃদ্ধির আগে জনগণের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনা করা দরকার। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণের এই পদ্ধতি অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য হ্রাস পেলে দেশেও জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশীয় বাজারের সমন্বয়ের এই প্রক্রিয়া জ্বালানি খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে বলে আশা করছে সরকার। তবে সাধারণ জনগণের ওপর এর প্রভাব কেমন পড়বে, তা আগামী মাসগুলোতে পরিষ্কার হবে।